Tuesday, January 5, 2021

সে এক বিরাট সমুদ্র

সে এক বিরাট সমুদ্র। আমার অত সামর্থ কই তারে আগলে রাখি। শুধু তার বুকে একদিন বিকট শব্দে আছড়ে পড়ে বিসর্জন দেয়ার স্বপ্নই দেখতে পারি।

Wednesday, June 10, 2020

তুমি আর ফিরে এসোনা

আজ প্রায় বছর খানেক হয়ে গেলো,তুমি আমি আর একসাথে নেই। না এমনটা নয় যে তোমাকে আর মনে মনে পড়েনা। তবে আগের মত প্রতি মুহুর্তে মনে পড়েনা। এখন আমার কাছে কবিতা লেখার মত প্রেম আছে,ছবি আকার পেন্সিল আছে,আছে শব্দ জমানোর মতন ডায়রী, আছে তোমার সাথে কাটিয়ে আসা অসংখ্য স্মৃতিদের স্মরলিপি। তবে বুকের ভেতর জ্বলতে থাকা অই আগুনটানা নিভে গেছে বহুদিন। হঠাৎ ব্লক লিস্ট থেকে ফিরে এসে আবার সবটা ঘেটে দিওনা। আমি তোমাকে ভুলতে চাই, তুমি আর ফিরে এসোনা।

হ্যা, এখনো প্রথম বৃষ্টির কথা মনে পড়ে,
মনে পড়ে জীবনের বাক ঘুরানো সেই চিকন উল্টোপথের গলিটা, রাস্তায় দাড়িয়ে থাকা অপেক্ষা মনে পড়ে, মনে পড়ে ঘাসের সাথে লেপ্টে থাকা তোমার অভিমান। তোমার সাথে কাটিয়ে আসা দুঃখ অথবা কিছুট সুখও মনে পড়ে। কিন্তু তবুও তোমার ঐ চুলের অদ্ভুত গন্ধটা আমি পাইনা, পাইনা তোমার গায়ের সেই পরিচিত সুবাসটা। আমার হাতের উষ্ণতায় তোমার হাত পাইনা আমি। তবে প্লিজ, এই একাকিত্বকে অযুহাত ভেবে তুমি আবার আমাকে নিয়ে ভাবতে বসো না। মরচে ধরে যাওয়া রুপকথার গল্পটার মত করে আবার সবটা ফিরিয়ে আনার চেস্টা করোনা। আমি সত্যিই তোমাকে ভুলতে চাই, তুমি প্লিজ আর ফিরে এসো না।

এমন একেকটা আধমরা বিকেলে এখনো মনে পড়ে তোমার জন্য কত অজস্র বাঙ্ময় অনুভূতি সেদিন এক লহমায় মিথ্যে হয়ে গিয়েছিল।কত অসংখ্য স্মৃতি জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছিলো।ব্যক্তিত্ত্বের সবটুকু বিসর্জন দিয়েও তোমাকে ফেরাতে পারিনি। হাজার বার রিং করার পরেও তুমি একটা বারের জন্য ফোনটা ধরো নি,ব্লকলিস্টে ফেলে রেখেছিলে। অথচ সেদিনের তোমার ব্যবহার বুঝিয়ে দিয়েছিলো নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কতটা বিপদমুখী হতে পারে। এমন মিথ্যে ভবিষ্যতের স্বপ্ন না আর কাউকে কোনদিন দেখিও না। ঠিক যেমন ভাবে প্রতিটা ভুলেও কোনদিন ক্ষমা চাইতে আসতে না,তেমন ভাবেই আর কোনদিন ক্ষমা চাইতে এসোনা। আমি তোমাকে সত্যিই ভুলতে চাই, তুমি আর প্লিজ ফিরে এসোনা।

সময়ের সাথে সাথে পরিণত হয়েছ বেশ। কথা দেয়া আর কথা রাখার মাঝে সূক্ষ্ম সুতোটা এখন বেশ স্পষ্ট বুঝতে পারো। তাহলে এবার তোমার মিথ্যে প্রতিশ্রুতিগুলোকে কবর দাও বরং।
বারংবার নিজেকে বেখেয়ালি অন্ধকারে না হারিয়ে বর্তমানে থাকার চেস্টা করো বরং। পারলে কাছের মানুষগুলোকে না কখনো এমন দূরে সরে যেতে দিওনা। নিজের ইচ্ছাকৃতভাবে করে ফেলা ভুল গুলোকে অযুহাত হিসেবে তুলে এনে একটা সম্পর্ককে ভেঙে যেতে দিওনা। ভালোবেসে ফেলা খুব সহজ,কিন্তু ধরে রাখাটাই জটিল অংকের উত্তর খোঁজার মতই কঠিন। ওসব কঠিন কাজ করার প্রতিজ্ঞা না তুমি আর কখনো করোনা। বিশ্বাস করো আমি সত্যিই তোমাকে ভুলতে চাই, তুমি প্লিজ আর ফিরে এসো না।

ঠিক কতোটা ঘৃণা করলে তোমায় সহজেই ভুলতে পারা যায়??

ঠিক কতোটা ঘৃণা করলে তোমায় সহজেই ভুলতে পারা যায়??

Thursday, May 28, 2020

তুমি নিকৃষ্ট

তোমাকে মনে পড়ার খুব একটা কারণ লাগেনা।কারণে অকারণে,সময়ে-অসময়ে তুমি আমার সমস্ত সত্ত্বাকে কাপিয়ে তুলো।দেহজুড়ে ছড়িয়ে দাও হিমশীতল স্রোত। দুর্বল আর অসার হয়ে যাওয়া এই আমার জন্য হাজার বছরের দূরত্বের আরো একটি সীমারেখা অঙ্কন করো বারবার।
তোমার দাবার ক্ষুদ্রতম গুটি হয়ে খুব হিসেবী পথেই চালিত হয়েছি বেহিসেবী মনে।বুঝতে পারিনি সবটুকুই যে কাপড়ে লেগে থাকা ইষৎ রঙিন ময়লা।ক্ষারের সামান্য নির্মন আঁচড়েই যা হারিয়ে যায়,তলিয়ে যায় বিলীন হয়ে যায় অনন্তের পথে।
তোমার স্বার্থের হিসেব-নিকেশের কঠিন ক্যালকুলেশনে আমি সামান্যই কর্তন সামগ্রী।প্রচন্ড আমোদে প্রয়োজনে কোন এক বছরের ঈদে কেনা বিলাসী পন্য।নতুনের জয়গানে যার স্থান হয় অন্ধাকারের কোন অলিতে গলিতে।
সকল প্রতিকূলতার উর্ধ্বে গিয়ে যদি আমি কিছু চাইতাম,সেটা তুমি।বর্ষার শুরুতেই একগুচ্ছ কদম হাতে অথবা বসন্তের মাঝামাঝি হাতভর্তি কৃষ্ণচূড়া সাজিয়ে শিশির জাগা ভোরে তোমার মুখোমুখি হতাম।সকল অনুভূতির বাহ্যিক প্রকাশ সম্ভব নয়। ভালোবাসার আবীর মাখানো অব্যক্ত হাজারো অনুভুতির কিছু হয়তো ছড়িয়ে দিতাম তোমার সমস্ত অবয়বে।আমার শীতল পরশে তোমার সম্পূর্ণ সত্ত্বা কেপে উঠতো। ভালোবাসা ভালোলাগার দিনগুলোতে এক মুহুর্তের জন্য ঘুরে আসতাম তোমার চোখে চোখ রেখে।যেখানে থরে থরে সাজানো আছে অসম্ভব হয়ে যাওয়া কতশত স্বপ্ন আর হাজারো অনুভুতি।কিন্তু এও শুধুই স্বপ্ন।
চাওয়া পাওয়ার নির্মম স্বার্থের খেলায় তোমার সতর্ক সচেতন পথের বিপরীতে আমি তোমাকে কেন্দ্র করে বেষ্টিত পথের বেওয়ারিশ সামান্য যাযাবর।সবকিছুর বিনিময়ে যে শুধু চায় কেন্দ্রে প্রবেশের যৎসামান্য অধিকার।
কিন্তু তোমাকে দেখ,আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করো একবার- ভালোবাসি বলে আমি কি কোন সর্বনাশের ডাক দিয়েছিলাম?শুধুতো ভালোবেসেছিলাম।
তারপরও স্বার্থপিয়াসী প্রিয় তুমি আমাকে সর্বনাশের বিশাল সমুদ্রে ভাসিয়ে মৃত্যুপথযাত্রার উল্লাসে ভাসালে। মৃত সত্ত্বা কাউকেই আর ভালোবাসেনা।
তোমার ধোকা দেয়া চোখ দুটো ঘুরিয়ে উল্টো করে নিজের মগজটা দেখ! কি দেখা যায় ঐ পচে যাওয়া নরম বলয়টাতে?নিজেকে জিজ্ঞেস করো!
তুমি মানে মগজ পচন,
তুমি মানে কাপুরুষের ধর্ষন,
তুমি মানে মন বিকলাঙ্গ,
তুমি মানে পচে যাওয়া রক্ত।
তোমার জন্য লিখতে লিখতে আমার হাত কি এখনো কেঁপে ওঠার কথা?
অথবা আমার দৃষ্টিটা কি একটু ঝাপসা হবার কথা?
আমার আর আগের মত কান্না পায় না।
আমার আর তোমার জন্য রক্ত ঝরেনা।
আমার এক ফোঁটা রক্ত,
তোমার মানসিক ভারসাম্যহীন ন’পুংষক
চিন্তাধারার চেয়ে অনেক দামী।


Wednesday, April 1, 2020

বেনামী স্বপ্ন

আজ অনেক দিন পর তুমি স্বপ্নে এলে। এর চেয়ে সুন্দর অনুভূতি কিছু হতেই পারেনা। সেই আগের তুমি। স্বপ্নটা দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়। একটি অংশ সাধারণ অন্যটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মত মনে হচ্ছে, যেখানে তুমি আমাকে যন্ত্রে রুপান্তর করে ব্যবহার করছ। স্বপ্নের ব্যাখা আমি জানিনা তাই বলতেও পারছি না এর বেশি কিছু। শুধু এটুকু বলতে পারি নিশ্চিতভাবে,অনেকদিন পর তোমায় দেখলাম খুব নিজের করে। কিছুদিন আগেও অনেক বেশি স্বপ্নে আসতে,আর স্বপ্নীল হতো সবকিছুই। কিন্তু এখন তেমন আর আসোনা। নীল দরিয়ায় পাল তোলা নৌকাও ভাসেনা দক্ষিণা হাওয়ায়।মনে হচ্ছে খুব ছোট্ট ছিলো স্বপ্নটা। আজীবন স্বপ্ন হয়েই থেকে যেও। তোমার আমার দূরত্ব এখন হাজার মাইলের চেয়েও বেশি, হয়তো অনন্ত। কিন্তু তুমি বাস করো আমার সমস্ত অস্তিত্বে, আমার সকল ভালোলাগা ভালোবাসা জুড়ে। আমার স্বপ্নের জগৎটাও তোমাকে নিয়েই রঙিন। তুমি ছাড়া ফিকে স্বপ্নটাও।
আর কত অপেক্ষা করব। আমার যে কিছুই করার নেই আর তোমার স্মৃতি আকড়ে বেচে থাকা ছাড়া।এবারতো ফিরে এসো। প্লিজ কাম ব্যাক।
আমার হয়ে একবার ফিরে এসো।
শুধু একবার প্রিয়তমা।

Monday, March 16, 2020

জানবে ওটা আমি


 গ্রীষ্মের ভরদুপুরে যখন –
বসে বটগাছের শীতল  ছায়ায়
ক্লান্ত পথিক তার শরীর জুড়ায় ;
পাকা আমের গন্ধে, বিভোরে
ভন ভন করে মাছিরা ওড়ে :
তখন যদি দেখ –
জলের অভাবে চরের জমিটা
হয়ে গেছে চৌচির ফুটিফাটা
জানবে ওটা আমি –
তোমার করুনার অভাবে
হয়ে যাচ্ছি  মরুভূমি।

বর্ষার আকাশ যখন –
কালো মেঘে থাকে ছেয়ে,
মেটায় মাটির তৃষা অঝোর ধারা দিয়ে;
সকলে রাস্তায় নামে
রথের দড়ি দু হাতে টানে :
তখন  যদি দেখ –
বন্যার জলে ভেসে যেতে যেতে,
কেউ যদি খড় কুটো ধরে চায় বাঁচতে :
জানবে ওটা আমি –
যে আজীবন  বাঁচতে চায়
আঁকড়ে ধরে শুধু তোমায়।



শরতের নীল আকাশে
মেঘের পানসি নৌকো ভাসে;
হাওয়াতে চরের কাশফুল দোলে,
পুকুর ভরে যায় গোলাপি কমলে ;
শিশুরা মাতে পুজোর ছুটিতে ;
সকলেই উতসবে ওঠে মেতে  –
তখন যদি দেখ –
দুড়দাড় ভাঙ্গছে নদীর পাড়
জানবে ওটা আমি –
ভেঙ্গে চলেছি সকালে বিকালে
তোমার হৃদয় তলে মিশব বলে।



হেমন্তে যখন –
জল ভরা পুকুরে মরাল মরালী ভাসে ;
ঘাসের ডগায় শিশিরবিন্দু মুক্তার মত হাসে;
হাল্কা কুয়াশা দেয় শীতের পূর্বাভাস;
ঘরে ঘরে নবান্নের ছড়ায় সুবাস;
তখন যদি দেখ –
কিছু ঘাস সাদা হয়ে গেছে,
চাপা পড়ে কাঠের গুঁড়ির নিচে,
জানবে ওটা আমি –
ইচ্ছে তারও অনেক  আছে :
ডগায় শিশির কণা জমিয়ে –
দেবে তোমার পা দুটি ভিজিয়ে ।



শীতের সকালে যখন –
গ্রামে মানুষ গুলো বসে
আগুনের চারিপাশে ;
দিন ছোট হয়, রাত বাড়ে
ভোরের আকাশ মুখ ঢাকে
কুয়াশার চাদরে ।
তখন যদি দেখ –
রাস্তায় কোনো ভবঘুরে হেটে যায় খালি গায়ে;
জানবে ওটা আমি-
পাগল হয়ে গেছি,
তোমার ভালোবাসার উষ্ণতা না পেয়ে।

বছর শেষে বসন্তে যখন –
জাগে  লালের শিহরণ
কৃষ্ণচূড়া আর পলাশের বনে ;
ব্যাকুলতা জাগে সকলের মনে
কোকিলের কুহু ডাকে ;
ফাগুনের  চাঁদ দেখে,
শিরা আর ধমনীতে আগুন জ্বলে ওঠে ;
তখন যদি দেখ –
পাতা ঝরা গাছের ডালে উঠেছে ফুটে
নতুন এক‌টি কুঁড়ি ;
জানবে ওটা আমি
তোমার অবহেলার ঝড় গুলো সব সয়ে
প্রেমকে আজও আমি রেখেছি বাঁচিয়ে।

Sunday, March 15, 2020

অন্তরতমা

অন্তরতমা,
একদিন কারফিউ উপেক্ষা করে আমি আবার ফিরে যাব তোমার মন নিতে।
যদিও আমাদের অন্ততকালের বিচ্ছেদ ছিলনা,ব্যাথা ছিলনা,সুখ ছিলনা,ভালবাসা ছিলনা।তারপরও তুমি,আমি কতশত বিচ্ছেদের যে সাক্ষী হয়েছি,তা কেবল সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
তোমার মনে ঢুকতে গেলেই যেন জ্বলে ওঠে আত্মসম্মানবোধ।তারপর আর কখনো সাহস করে যাওয়া হয়না ওদিকে।বেঁচে ফিরে আবার বাঁচতে ইচ্ছা হয় আমার।
এত গভীরভাবে তোমাকে মনে করতে গিয়ে আমি যেন আবার ভুলে যায়।
তুমি আসলে কে?কেমন ছিলে?
একটা সুসংগঠিত বিচ্ছেদের জন্ম দিয়ে তুমি রক্তিম চোখে বলেছিলে,"ভুলে যাও।"তারপর থেকে আমি আর মনেই করতে পারিনি তুমি আসলে কে?
জীবন কি আসলেই জটিল নাকি আমি জীবনকে জটিল করলাম?তুমি কি আসলেই অন্তরতমা নাকি আমিই তোমাকে অন্তরতমা বানালাম?
উত্তর পাইনি।
জানো উত্তর?

Wednesday, March 11, 2020

"তুমি একা, ভীষণ একা"

কিছু মানুষ গভীর রাত পর্যন্ত কারো জন্য অপেক্ষা করে। একটা ফোন কলের অপেক্ষা করে, অথবা একটি মেসেজের।
কিছু মানুষ গভীর রাতে অতীতের পাতা খুলে বসে।
দেখে হারিয়ে যাওয়া মানুষটার হা সিভরা মুখের ছবি।
অতীতের ভালোবাসা ভরা টেক্সটের মিথ্যে ভরা লাইনে চোখ ভিজিয়ে ফেলে।কেউ কেউ চোখের সামনে সবচেয়ে ভালবাসার মানুষকে পর হয়ে যেতে দেখে।
ইচ্ছে করে বলতে,
"থেকে যাও।
তোমার নরম হাতের মাঝে
আমার কাপতে থাকা কঠিন হাতটা ধরে রাখো"

জগতে কিছু মানুষ কাউকেই আপন করে পায় না।বড় বড় ভালোবাসার সমীকরনের উত্তর মেলে না।কেবল বিশাল বিশাল পাতার লেখা গুলোর ওপর
একটা লম্বা দাগ টেনে দেয়া হয়,
"He/She never ever loved you !!"
সত্যি ভালোবাসাটাই তখন অপরাধ হয়ে দাড়ায়।তাই কিছু মানুষ রাতে ঘুমায় না।
ঘুম আসে না!
রাতের আকাশের তারাগুলো তখন বলতে থাকে,
"তুমি একা, ভীষণ একা"
আমিই তোমার একমাত্র নীরব সঙ্গী। 

ভালবাসি বলে ক্ষমা করে দিও


ভালবাসি বলে ক্ষমা করে দিও।
ভালবাসার অধিকারটুকু চেয়েছিলাম বলে ক্ষমা করে দিও।
নিজের ইচ্ছেগুলো পূরণে তোমাকে পাশে চেয়েছিলাম বলে ক্ষমা করে দিও।
তুমি হারিয়ে যাবে বলে যে পাগলামি করেছিলাম তার জন্য ক্ষমা করে দিও।
সবশেষ হয়ে যাওয়ার পরও বার বার তোমার কাছে অাস্তে চেয়েছিলাম বলে ক্ষমা করে দিও।
তোমাকে দিনের পর দিন জ্বালিয়েছি আমার আজেবাজে কথা দিয়ে, তাই ক্ষমা করে দিও।
তোমার জীবনে বেশি দখল নিতে চেয়েছি বলে  ক্ষমা করে দিও।
তোমার সাথে অভিমান করেছিলাম বলে ক্ষমা করে দিও।
তোমাকে সবসময় পাশে চেয়েছিলাম বলে ক্ষমা করে দিও।
সর্বশেষ তোমার জীবনে এসেছিলাম বলে ক্ষমা করে দিও।
কথা দিলাম আজ থেকে তোমাকে আমার কারণে কোন কিছু সহ্য করতে হবে না।
আমার পাশেও দাঁড়াতে হবে না।
আমি নিজেকে ঠিক সামলিয়ে নিব।
শুধু চাইব তুমি ভাল থাকো।
খুব ভাল।

তুমি শহরময় হাঁটতে হাঁটতে যখন ক্লান্ত হবে

তুমি শহরময় হাঁটতে হাঁটতে যখন ক্লান্ত হবে,একটু হাত বুলিয়ে দেখ চিরকুটে,
প্রণয়ের তীব্রতা কতটা ছিল।
ভেজা চিরকুট ছুঁয়ে দিলেই দেখবে ওগুলোতে
তোমাকে হারানোর দারুণ যন্ত্রনা আঁকা ছিল।

Tuesday, March 10, 2020

কবিতার এখানেই আসন্ন বিজয়


রাস্তার প্রতিটা মোড়ে মোড়ে একটা করে দোকান বসবে প্রিয়তমা, তোমার জন্য।
বেশি কিছু নয় একমুঠো চুরি, পায়ের নূপুর, লাল রঙয়ের আলতার সাথে নাকের নোলক নিয়ে৷
তোমার জন্য গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে লক্ষ কোটি যুবক।
অতঃপর, যখন তোমার আগমন ঘটবে ভালোবাসা বিনিময়ের জন্য, চতুর্দিকে রঙিন আলো আলোকিত করবে মন।তোমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ যুবকেরা হাঁটু গেড়ে প্রেম নিবেদন করবে। যে তোমাকে বুঝতে পারবে, ভাল রাখতে পারবে তাকেই নিও৷
আমি না হয় একটু বেশিই ভালবাসি, একটু বেশি যত্ন নিতে চাই।ভাল রাখার আর ভালবাসার মধ্যে যে সূক্ষ্ম পার্থক্যটুকু আছে সেটা তোমার বোধগম্য নয়৷
বলছি না আমাকে নিয়ে অনেক ভাবতে হবে,
রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছেলেরা যখন তোমার জন্য হাঁটু গেড়ে বসে থাকে, আমাকে নিয়ে না ভাবলেও চলবে৷
ভাগ্যিস এই লেখনি শক্তি দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা।
তোমাকে জয় করার জন্য নয়!
এই পৃথিবীর প্রতিটি সত্যিকার ব্যর্থ প্রেমিকের মনের কথাগুলো দীপ্ত কণ্ঠে বলার জন্য।
মেয়ে জাতির ভালো প্রেমিক পছন্দ নয়৷
যে তোমাকে ভালোবেসে নিজের সত্ত্বাকে সঁপে দিলো, ইচ্ছা কে বিলিয়ে দিল,নিজের ভালোলাগাকে তোমার ভালবাসায় বিলীন করে দিলো তাকেই মেকি মনে হয়,বানোয়াট মনে হয়৷
তোমার জন্য উদ্ভট দুশ্চরিত্র লম্পট যথেষ্ট।
তুমি তাকে নিয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখো, আর সে স্বপ্ন দেখে তোমাকে উপভোগের।
অথচ যে তোমাকে ভালোবাসলো, নিজের সত্ত্বাকে তোমার কাছে সঁপে দিলো–
হায়! আর নাইবা বলি!
বিশ্বের প্রতিটা সত্যিকারের প্রেমিকের কথা গুলো তোমাদের কাছে সিনেমাটিক মনে হয়,
অথচ ভন্ড লম্পট দুশ্চরিত্রদের মুখ নিঃসৃত মেকি
বানীগুলো রোমান্টিক মনে হয়, হৃদয়ে তোমাদের শিহরন তোলে৷
শিহরণ যখন হটাৎ থমকে যায়?
নিস্তব্ধ হয়ে দেওনাপাওনার হিসাব চুকাও?
হিসাবে গরমিল? হ্যাঁ হবেই তো।
তখন বাপ ভাই বাদে সকল পুরুষ খারাপ বলে গম্ভীরমুখে চিৎকার করতে থাকো।
অথচ যে তোমায় ভালবেসে নিজের সত্তাকে সঁপে দিলো,অস্তিত্ব বিলীন করলো তার হিসাবটা আড়ালেই থাকে।
 এই মায়ার পৃথিবীতে দুশ্চরিত্রদের জন্য প্রেমমঞ্চ উন্মুক্ত করে যাচ্ছি৷
আর এদের একমাত্র প্রেমিকা হবে তুই বা তোরা৷
কবিতার এখানেই আসন্ন বিজয়৷

সে এক বিরাট সমুদ্র

সে এক বিরাট সমুদ্র। আমার অত সামর্থ কই তারে আগলে রাখি। শুধু তার বুকে একদিন বিকট শব্দে আছড়ে পড়ে বিসর্জন দেয়ার স্বপ্নই দেখতে পারি।