Monday, December 9, 2019

প্রিয়তমা হেমা

প্রিয়তমা হেমা, 
আজ একশত তেতাল্লিশ প্রহর অতিক্রান্ত হলো কিন্তু, তোমার বদনখানি একটিবার দেখার সুযোগ হলো না! 
যেই আমার ঊষার আলোর স্পর্শ প্রাপ্তির পূর্বক্ষণে- তোমার হাতের স্পর্শ কপালে না জুটিলে, তোমার বদনখানি একবার দর্শন না করিলে, আমার দিনখানা বৃথা যেত- 
সেই আমি এত প্রহর তুমিহীনা কেমনে আছি-।
একবারও ভেবেছ কি? 
প্রিয়তমা, 
প্রতিক্ষণে আমার হৃদয়ভঙ্গের কথা না হয় বাদই দিলাম। করুণ দিনাতিপাতের কথা আর নাই বা শুনালাম। হয়তো তুমি বিরক্ত হয়ে পড়ছো। কারণ ভালবাসার মানুষের কষ্ট হয়তো তুমি ছুঁতে পারছো না তবে জানি অনুভবে তুমিও কষ্ট পাচ্ছো। 
প্রিয়তমা, তবে এবার স্বপ্নপূরণের সমাচার শোনো- 
তোমার স্বপ্নপূরণের সমাচার হে প্রিয়তমা! 
তোমার পছন্দের সেই নিঝুম দ্বীপের অভয়ারণ্যের মাঝে নির্মাণ করেছি আমাদের ভালবাসার এক প্রতীকী প্রাসাদ। ঠিক যেমনটা সম্রাট শাহজাহান করেছিলো তার প্রিয়তমা মমতাজের উৎসর্গে। ঠিক যেমনটা চেয়েছিলে তুমিও। আর তুমি আসবে বলে- প্রাসাদের আঙিনায় সাজিয়েছি সুবিশাল ফুলের উদ্যান। তুমি আসবে বলে উদ্যান ভরেছে তোমারই পছন্দের বেলী আর রজনীগন্ধার সহস্র চারাগাছে। 
তুমি আসবে বলে- আমার দিবারাত্রি কাটছে নির্ঘুম যেন দরজায় কড়া নাড়ার সাথে সাথেই অনতিবিলম্বে তোমার প্রস্থান নিশ্চিত করতে পারি। দরজায় দাঁড়িয়ে কড়া নাড়তে নাড়তে তুমি ক্লান্ত হয়ে যেতে। আমি চাই না আর তার পুনরাবৃত্তি ঘটুক। আমি নির্ঘুম পাহারাদার হয়ে আছি তোমারই অপেক্ষায়। কিন্তু এতদিনে তুমি একবারও এলে না হে প্রিয়তমা! 
আজ থেকে ঠিক একশত তেতাল্লিশ দিবস পূর্বে আমাকে ছন্নছাড়া করে চলে গিয়েছিলে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে, 
আর এলে না। শাহজাহানের উৎসর্গ করা তাজমহল যেমন দেখে যেতে পারেনি মমতাজ! তেমনি তুমিও আমাদের প্রেমের তাজমহল না দেখেই অকালে আমাকে বিদায় জানিয়ে গেলে। 
ওহে প্রিয়তমা, অশরীরী আত্না হয়ে হলেও একবার দেখে যেও তোমার স্বপ্নের পৃথিবীটা। 

No comments:

Post a Comment

সে এক বিরাট সমুদ্র

সে এক বিরাট সমুদ্র। আমার অত সামর্থ কই তারে আগলে রাখি। শুধু তার বুকে একদিন বিকট শব্দে আছড়ে পড়ে বিসর্জন দেয়ার স্বপ্নই দেখতে পারি।