Friday, May 31, 2019

ভয়াবহ রকমের নিষ্ঠুর অভিনেতা

একটা সময় ছিল যখন একজন না খেলে আরেকজন খেতো না।গুড নাইট না বলে কেউ ঘুমাতো না।মাথা ব্যাথা করছে এমন সামান্য খবরটাও দিতো একজন অন্যজনকে।একজনের মাথা ব্যাথা অন্যজনের মাথা খারাপ।মাথা ব্যাথাটাও ভাগাভাগি করে নিতো দুজনে।

কত শেয়ার কত কেয়ার ,

আর তারপর……???

বাস্তবতা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় দুটি পথ দুদিকে বেকে গেছে,দুইজন দুই পথে চলছে।কি নির্মম,আশ্চর্য! “না” শব্দটা বললেই কি সব শেষ হয়ে যায়? সব কি ভুলা যায়???

ঠান্ডা মাথায় ব্রেক আপ হবার গল্প কম। একটা সূর্য গড়িয়ে পরতে পরতে হঠাৎ ডুবে যায়।পরদিন আর উঠেনা।একটা মানুষ বলে উঠে এভাবে আর সম্ভব না...... মানে ব্রেক আপ।

ভুলে যাও বললেই কি সব ভুলা যায়?ব্রেক আপের ফলেই কি সব থেমে যায়?প্রিয়জনের শ্যামলা মুখের মায়াবি চোখটা কি মনে পড়ে না? হাসির সময় অই সুন্দর ফুটে উঠা চেহারাটাকি ভুলতে পারে আরেকজন?
জেগে জেগে কাটানো রাতটা? ঐ রাতে ফোনের দুইপাশে দুইজনে দেখা স্বপ্নগুলি??
পারে কি কেউ ভুলে যেতে??

ঘুম থেকে উঠে মোবাইলটা হাতে নিয়ে সময় দেখার আগেই একটা অভ্যাস থাকে মানুষজনের। ইনবক্স চেক করতে হবে..
     "ei ghum theke utho ni.....?"

" না " বলে সব শেষ করে দেয়ার পরও ঘুম থেকে উঠে এরা মোবাইলটা ভুল করে হলেও চেক করে।এটা অভ্যাস। মানুষকে তাড়ানো সহজ ব্যাপার হলেও অভ্যাস তাড়ানো সহজ ব্যাপার নয়।অভ্যাস বড়ই নাছোড়বান্দা। নতুন অভ্যাস না হওয়া পর্যন্ত পুরনো অভ্যাস যায়না।

সম্পর্কগুলোতে চাঁদনি রাতে বিশাল চাঁদ দুইজনে দেখা একটি কমন চিত্র। কিন্তু, সকালে যে মানুষটা একজনকে তাড়িয়ে দিলো তার কি হবে? রাতে একা একা চাঁদ দেখতে পারবে? মনে পড়বে না? পারবে ভুলতে?
বুকে হাত দিয়ে বলুক দেখি,মনে কি সত্যিই পড়বে না?
হারানোর পর একদিন হাত বাড়িয়ে একা একা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।হয়ত ফিরে আসে,আবার হয়তোবা আসে না। ফিরে আসলে বলি ভালো আছি ।আর না আসলে বলি সব ভুলে গেছি।
আসলে সব ভুলে যাওয়া যায়না, ভুলে থাকার অভিনয় করা যায়। "এইতো বেশ আছি" বলে একটা হাসি দেয়া যায়। কিন্তু হাসিটা যে বড়ই শুষ্ক।হাসিটার আড়ালে যে অদ্ভুত বেদনা! কি নিষ্ঠুর অভিনয়! কি ভয়াবহ রকমের নিষ্ঠুর অভিনেতা.....।



No comments:

Post a Comment

সে এক বিরাট সমুদ্র

সে এক বিরাট সমুদ্র। আমার অত সামর্থ কই তারে আগলে রাখি। শুধু তার বুকে একদিন বিকট শব্দে আছড়ে পড়ে বিসর্জন দেয়ার স্বপ্নই দেখতে পারি।